উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র জানান, “নতুনভাবে চালু হওয়া এই আইসোলেশন সেন্টারে ১০টি শয্যা পুরুষ এবং ৫টি নারী রোগীর জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভবিষ্যতে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, এখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের জন্য প্রাথমিকভাবে র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘অমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অমিক্রন উপসর্গহীন হয়েও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করছে, তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত পরীক্ষা ও প্রয়োজন হলে আইসোলেশন জরুরি।”
তিনি জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি পালন ও সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা আগেও এই সংকট সামলে উঠেছি, এবারও পারব।”
মেয়র ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আলাদা টেস্ট সিস্টেম চালু রয়েছে এবং মশা নিধনে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নগরবাসীকে জমে থাকা পানি পরিষ্কারের পাশাপাশি বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।
চসিকের জীবাণুনাশক কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভাইরাস প্রতিরোধে ০.৫% ক্লোরিন সলিউশন অত্যন্ত কার্যকর। বাসা, অফিস ও হাসপাতাল পরিষ্কারে এটি ব্যবহারে সুফল মিলছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হোসনা আরা বেগম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সেক্রেটারি ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালি, ডা. এস এম সারোয়ার আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা।