নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ভয়েস :
ই-কমার্স কোম্পানি ই-ভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও ই-ভ্যালিতে আটকে থাকা অর্ডার, গেটওয়ের টাকা এবং এই চেকের অর্থ ফেরতের দাবিতে রবিবার ১০ নভেম্বর বিকাল ৩টার সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
উক্ত মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আল আমিন এবং চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন ইত্যাদি প্রমুখ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহরিয়ার হুসাইন, সুখ রঞ্জন, মোহাম্মদ আহসান, শামীম , আরিয়ান দিপু, একরাম, ইমরানুল হক ইত্যাদি দেড় শতাধিক ভুক্তভোগী।
ইতালিতে প্রতারিত এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্য এবং দাবি সমূহ:
✅আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইভেলিতে প্রতারিত চট্টগ্রামের ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে হবে অন্যথায় প্রতারক রাসেল এবং শামীমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।
✅ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভালি সহ অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে বেনামে ফ্যাসিস্ট সরকারের মাফিয়াররা বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রতারণার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ভোক্তা অধিকার পরিষদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই ক্যাব সরাসরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।✅ইভ্যালী প্রতারণার সাথে যে সমস্ত ব্যক্তি জড়িত এবং দালালি করে রাসেলকে সাহায্য সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।✅সর্বশেষ চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে যে সমস্ত প্রতারিত গ্রাহক আছে তাদের টাকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার মতো দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না দেখলে চট্টগ্রামের ভুক্ত অধিকার অধিদপ্তর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
পরিশেষে ভোক্তভেগীরা বলেন রাজনৈতিক এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কোতোয়ালি থানার মো: ফজলুল কাদের চৌধুরী মো আশরাফুল স্যার সহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়,ডিজিএফআই,এনএসআই,সিএসবি, সিটিবি, সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply