নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৩ ডিসেম্বর বুধবার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারকাজুত তাক্ওয়া মাদ্রাসার ২য় বার্ষিক সভা ও দস্তারবন্দী বাকলিয়া রাহাত্তাপুল জামে মসজিদ সংলগ্ন মারকাজুত তাকওয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মো: আশিক এলাহীর সভাপতিত্বে ও আরমান হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মুফতি ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান, আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেখল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ইসমাইল খাঁন, জিরি মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ক্বারী নোমান জাহাঙ্গীর, বায়তুর রহমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওঃ শোয়াইবুল ইসলাম তৌহিদী প্রধান মেহমান ছিলেন কাউন্সিলর লায়ন এম আশরাফুল আলম, বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ নিজাম উদ্দিন, রাহাত্তারপুল জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ মনজুর আলম।
আরো উপস্থিত ছিলেন পবিত্র কোরআন সম্পন্ন করা পাকড়ি প্রাপ্ত হাফেজদের মধ্যে ইমরানুল হক (রিশাত), মো: তাহজীদ হোসাইন, মো: ইরফান হোছাইন, মো: মারুফ সিদ্দিক (মাহিম), মো: ওসমান গণি, মো: ইব্রাহীম, মো: ওয়াসিদুল ইসলাম (রাইয়ান), মো: মুতাম্মিম সুলায়মান, মো: মোজাহিদুল ইসলাম, মো: আশরাফুল ইসলাম, মো: হাবিবুল্লাহ মারুফ, মো: ইমাম হোসেন (ইমন), মো: হাসান মুস্তফা, মো: আব্দুল্লাহ আশফাক, মো: মিফতাহ, মো: আহনাফ কবির সোহান, মো: ইয়াতিমুল ইসলাম তাছমীর, মোছাম্মৎ নাজিহা নাওফা, অসংখ্য মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ অনেকেই।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আর্ন্তজাতিক হিফজুল কুরআন ও তাফসীর প্রতিযোগিতা সৌদি আরব-এর বিচারক ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান সহি শুদ্ধভাবে ইবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করার তাগিদ, হক-হালাল রুজি রোজগার সহ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন মারকাজুত তাক্ওয়া মাদ্রাসা বিগত বছরগুলোতে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে তাতে তারা সমাজে ধর্মীয় ও আর্দশিক শিক্ষায় নতুন প্রজন্ম গড়ার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভুমিকা রেখে আসছে। এতে আরো বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। দিন ব্যাপি হামদ,নাত,গজল,কোরআন তেলাওয়াত মারকাজুত তাক্ওয়া সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর প্রাণবন্ত পরিবেশনা, আমন্ত্রিত অতিথিদের মিলাদ মাহফিল ও কোরআনে হাফেজদের পাকড়ি প্রদানে মুখোরিত ছিল মাহফিল প্রাঙ্গণ। সর্বোপরি মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
Leave a Reply