1. [email protected] : CbCvVcgr :
  2. [email protected] : facfltd :
  3. [email protected] : FormanchYtv :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন

শ্বশুরের কাটা মাথার খোঁজে পুত্রবধূকে নিয়ে তল্লাশিতে পিবিআই 

নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম:
  • Update Time : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৩৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে খুনের পর লাশ কেটে খণ্ড-বিখণ্ড করা ব্যক্তির মাথার খোঁজে দ্বিতীয় দিনের মতো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে এখনো মেলেনি নিহত হাসানের কাটা মাথা।

সোমবার (২ অক্টোবর) ভোরে পুত্রবধূ আনারকলিকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যায় পিবিআই টিম। তবে জোয়ারের কারণে এদিন দুপুরে তল্লাশি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। এসময় অভিযুক্ত আনারকলিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখে পিবিআই।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খাঁন বলেন , ‘পতেঙ্গায় টানেলের প্রবেশমুখে একটি পুলিশ বক্স আছে। এর পেছনে পাথরের ব্লকের ভেতরে খণ্ডিত মাথাটি আছে বলে গ্রেপ্তার আনারকলি আমাদের দেখিয়ে দেন। আমরা কয়েকঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছি। সেখানে লাশ পচা দুর্গন্ধও পেয়েছি, কিন্তু জোয়ার চলে আসার কারণে মাথাটি পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, ব্লকের ভেতরে মাথাটি এখনও আটকে আছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোরে ভাটার সময় আবারও তল্লাশি চালানো হবে।’

খুনের শিকার মো. হাসান (৬১) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেইটে একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, খণ্ড-বিখণ্ড এই মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় নিহত ব্যক্তি মো. হাসান বলে শনাক্ত করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির এলাকায়।

পিবিআই জানায়, অন্তত ২৮ বছর ধরে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। এসময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তাও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বছরখানেক আগে হঠাৎ তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে হাসানের নামে কিছু পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। যেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ভুক্তভোগী হাসান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা ভবনের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হাসানকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ফেলে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বাবাকে হত্যার কারণ, কীভাবে হত্যা করা হয় এবং কীভাবে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় তার বর্ণনা দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © 2021
Theme Customized By LiveTV