চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ৭নং সতীশ বাবু লেইনে আহমেদ হোসেন নামের এক প্রবাসীর বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা হলে আইনি লড়াইয়ে প্রবাসী আহমদ হোসেনের পক্ষে রায় দেন আদালত।প্রবাসী আহমদ হোসেন এর পক্ষে আদালতের রায় হলেও তার বিরোধী পক্ষ সুজিত বাবু ও এলাকার কিছু লোক সে রায় মানছেন না বলে অভিযোগ আহমদ হোসেন ও তার পরিবারের। জানা যায় গত ২০০৩ সাল থেকে চলাচলের এ রাস্তাটি নিয়ে উভয়পক্ষের বিরোধ চলে আসছে। আহমদ হোসেনের দাবি, যেহেতু রাস্তাটি তার জমির অন্তর্ভুক্ত, তাই সেখানে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। এছাড়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে এবং ভাড়াটিয়াদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি ভয়-ভীতি দেখানোর কারণে তার বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া আসছে না বলেও জানান পরিবারটি। এতে তাদের আয়ের প্রধান উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
তবে সুজিত বাবু জানান, রাস্তা প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি রাস্তাটি সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত। মূলত প্রতি বছর মহোৎসব ও পূজার সময় কয়েকদিন এ রাস্তাটি দিয়ে ভক্তরা যাতায়াত করে, যেটি পছন্দ করেন না আহমদ হোসেন। এ নিয়ে আহমদ হোসেন ও সুজিতের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতিও হয়েছে, এসময় সুজিত বাবুর মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এবং স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ১৪ দিন অপেক্ষা করার পরেও আহমেদ হোসেনের পরিবার সমঝোতায় আসেননি। তাই আহমদ হোসেন সুজিত বাবুকে আঘাত করেছেন মর্মে সুজিত বাবুও আদালতে একটি মামলা করেছেন এবং আদালতের রায় মাথা পেতে নেবেন বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, রাস্তাটি কারো একার সম্পত্তি নয়। এটা সকলেরই চলাচলের রাস্তা। তারপরেও আহমদ হোসেনের পরিবার এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করতেছে। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি এই বিরোধ মেটানোর জন্য। কিন্তু আহমেদ হোসেন সমঝোতায় আসবেন বলে বলে কালক্ষেপণ করে বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটির পাঁচতলা ভবন সম্পূর্ণ ভাড়াটিয়া শূন্য হওয়ায়, প্রধান আয়ের উৎস বন্ধ। তাই বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী আহমেদ হোসেনের পরিবার।
Leave a Reply