মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েশন সেন্টার ও কোর্ট প্রযুক্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমি প্রধান বিচারপতি হবার পর দেশের ৮টা বিভাগের জন্য হাইকোর্টের ৮ জন বিচারপতিকে দিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করি। পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সে বিচারপতিরা উল্কার মত বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার বিচারকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেছেন। ফলে বিভিন্ন জেলার মামলা নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হারে বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এই স্বাধীনতাকে কার্যকর করার জন্য আমরা সকলেই কাজ করছি। কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা তাদের সঙ্গীয় কাউকে বিচার করতে গেলেই বিবৃতি দেওয়া শুরু করে। এটা বিচার বিভাগকে অপমান করার শামিল।তিনি বলেন, সকলের মনে রাখতে হবে আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার নিমিত্তে এই রকম বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
এ সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, মেডিয়েশন স্টোরের মাধ্যমে যদি মানুষের মধ্যে বিরোধ কমাতে পারি, মানুষে মানুষে যদি আমরা সম্পর্ক ও ভালোবাসা স্থাপন করতে পারি তাহলে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব হবে। আর এই সমাজ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।‘কারণ সমাজ পরিবর্তন করতে না পারলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব না। সমাজ পরিবর্তন করতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না’, যোগ করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনসহ অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply