নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রামঃ
মানব সেবা মহান ধর্ম। মানব সেবায় নিহিত জাগতিক সকল প্রশান্তি। আর এই মানব সেবাকে ব্রত হিসেবে বুকে ধারন করে শৈশব থেকেই কাজ করেন অনেকেই। মানব সেবার সাথে যখন যুক্ত হয় নেতৃত্ব তখন দ্বিগুণ বেড়ে যায় সফলতা।
আজ এমন এক সফলতার গল্প শুনাব যিনি শৈশব থেকে মানব সেবাকে ধ্যান জ্ঞান জেনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাথে যুক্ত হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টায় পিছু ছুটে।
রাজনীতি আর মানব সেবায় মানুষের ভালবাসায় সদা-সর্বদা নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকতে চান আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান। যার শৈশব অপরাপর ছেলেদের মত খেলাধুলায় নিমজ্জিত ছিল না। তিনি সারাক্ষন ভাবতেন তার বন্ধুদের ও প্রতিবেশীদের কথা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ করতেন। শৈশবে আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান যোগদেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। রাজনীতি ও মানব সেবা দুইটাই করতে গিয়ে তিনি পড়ালেখায় বেশী দূর এগুতে পারেনি। লেখাপড়ায় গতি হারালেও গতি হারাননি মানব সেবা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
কুমিল্লার সদর থানার ক্যান্টেনমেন এলাকার গোলান্দী মৈশান বাড়ীর আবিদ আলী মৈশানের ছেলে আব্দুল মতিন। যার শৈবব কাটে গোলান্দী মৈশান বাড়ী এলাকায়। পরবর্তীতে তারা পারিবারিক ভাবে স্থায়ী হন পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ এলকায়। সেখানে তার রাজনৈতিক ভিত মজবুত হয়। নির্বাচিত হন যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি থমকে যাননি দ্বিগুণ উৎসাহে এগিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। জয় করেছেন স্থানীয়দের মন। মানব সেবায় উজাড় করেছেন নিজেকে। ফল হিসেবে গত যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় মেম্বার হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
মেম্বার হিসেবে বিগত ৫ বছর আব্দুল মতিন সারাক্ষণ চষে বেড়িয়েছেন প্রতিটি স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পাশে থেকেছেন সকলের সুখে দুঃখে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালীন সময়ে থামেনি তার কার্যক্রম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবন মরণ সন্ধিক্ষণেও তিনি ভেবেছেন এলাকার অসহায় মানুষের কথা।
আব্দুল মতিনের মানবতাও তার কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়ে আবারো দল তাকে সদ্য সমাপ্ত যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দেন। জনগন তাদের আস্তার বাতিঘর চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করেন।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান অকাতরে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাবাসীর। আগামীতেও তিনি তার সেবা অব্যাহত রাখবেন ও আমৃত্যু মানব সেবায় নিয়োজিত থাকবেন বলে জানান।
Leave a Reply