নিজস্ব সংবাদদাতা,চট্টগ্রাম :
টানা কয়েক দিনের অনবরত বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশ,দোহাজারী ,সাতকানিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো রয়েছে জলাবদ্ধতা।সামনে অতিবৃষ্টি পাহাড়ি প্লাবনে জনমনে এখনো রয়েছে সংশয় ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার। এমন অবস্থায় তীব্র খাবার সংকটের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব এলাকার মানুষ।সম্প্রতি টানা বৃষ্টি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা ছুটে গিয়েছে গ্রামীণ কল্যাণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল সহকর্মীবৃন্দ, ডাক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত সহকর্মীগণ যারা প্রত্যেন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করার জন্য নিত্যদিন নিরলস পরিশ্রম করেছেন তারা । এবারের বন্যায় এক ভিন্ন রূপ দেখেছেন চট্টগ্রামের সম্পূর্ণ নীচু অঞ্চল । এ দিকে গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস এর পরামর্শ মোতাবেক গ্রামীণ কল্যাণ জোবরা অঞ্চল চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ ,দোহাজারী ,সাতকানিয়ায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহন করে ! জোবরা অঞ্চল গত ১৭-০৮-২৩ ইং তারিখ হতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে । ইতিমধ্যে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষ হতে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ এবং হাটহাজারী উপজেলায় মেডিকেল টীমের মাধ্যমে ১৫০০ জন পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার এবং ৩৫০ জনকে ডাক্তারের সমন্বয়ে টীম গঠন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় । এছাড়াও ৮০০ জনকে রান্না করা পুষ্টিকর খিচুড়ি প্রদান করা হয়েছে, উল্লেখ্য যে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম জেলায় জোবরা অঞ্চলের ১০ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং চোখের ছানি অপারেশনের মাধ্যমে এলাকায় দরিদ্র মানুষকে ছানি জনিত অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষার মহতী উদ্যোগ গ্রহন করেছে ।
Leave a Reply