নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রামঃ
চলমান সময় এই দেশে নির্বাচনে ধর্মীয় সহিংসতা রোধে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ম নিয়ে শহর ও গ্রামে শিক্ষণীয় জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। বাস্তব জীবনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অসহিষ্ণু আচরণ, ঘৃণাবাচক বক্তব্য এবং অপতথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে হবে।এ জন্য যথাযথ ধর্মীয় বিধান-ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ করতে হবে। বক্তারা মনে করেন ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখানো ও সহিংসতা রোধে ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। সংলাপে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে মিলেমিশে বসবাস করার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ২২ আগস্ট দিনব্যাপী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষা বিষয়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওর্স পার্টনার ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা)। এতে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনিস্টিটিউট (আইআরআই)।নির্বাচনী সহিংসতা বা ইলেকট্ররাল ভায়োলেন্স শুণ্যের কোঠায় আনতে চট্টগ্রাম নগরীর আভিজাত্য একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন রূপসা’র নির্বাহী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল। এতে রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী সহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।প্যালেক আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ার লেডি অফ দ্যা হোলি রোসারী ক্যাথলিক চার্চের ভারপ্রাপ্ত পুরোহিত ফাদার রিগ্যান ডি কোস্তা,হাজারীবাগ হযরত জুলমান শাহ (রাঃ) শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ ক্বারী মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক পণ্ডিত আকাশ চক্রবর্তী,বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অর্নিবাণ
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওলি উল্লাহ, বিএডিসিপি’র চেয়ারম্যান পাস্টর অজয় মিত্র, উন্নয়নকর্মী অ্যাম্ব্রোজ গমেজ, দীলিপ বাড়ুয়া, নারীনেত্রী জাহানারা আর্জু, সাংবাদিক সাইফুদ্দিন রমিজ,সাংবাদিক বিদ্যুৎ দেব, সাংবাদিক জুনায়েদ হাসান, সাংবাদিক আশরাফ, সাংবাদিক রুবেল,শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, আতিকুর রহমান সাইয়েম, কান্তা ইসলাম মিনু, মিসকাত আক্তার মিঠু, রহিমা আক্তার, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply