চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নারিকেল ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫) হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় নিহতের মা শানু আক্তারের দায়ের করা হত্যা মামলায় থানা পুলিশ সন্দিগ্ধ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
এ সময় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ জাবেদ মিয়া। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দাবী করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোমেন শাহ বাড়ির আমিনুল হকের পুত্র মো. আজিজুল আমিন প্রকাশ সরফরাজ (২৬), একই বাড়ির আবুল কাশেমের পুত্র ইমতিয়াজ হোসেন (২৫) এবং উক্ত ওয়ার্ডের দানা মিয়া তালুকদার বাড়ির মৃত ফকির আহম্মদের পুত্র আবদুল শুক্কুর (৩২)। তাদের মধ্যে আজিজুল ও ইমতিয়াজ শিক্ষার্থী এবং শুক্কুর চাকুরীজীবী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট সকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেললাইনের সরকার হাট রেলস্টেশন এলাকার মাইট্টা (মাটিয়া) পুল সংলগ্ন মরা ছড়ার পাশে ধান ক্ষেত থেকে নারিকেল ব্যবসায়ী মামুনের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মামুনের কপালে ছুরিকাঘাত, মাথা থেঁতলানো ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন ছিল।
নিহত মামুন ওই ইউনিয়নের মইগ্যার হাটের পশ্চিমে মোমেন শাহ বাড়ির মৃত মহিউদ্দিন কন্টেকটারের মেজ ছেলে। লকডাউনে সে সরকারহাট বাজারে ‘রিহান নারকেল হাউস’ নামে তাঁর ছোটভাই আব্দুল্লাহ আল নোমানের নারিকেলের ব্যবসা পরিচালনা করত।
ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করেছে দাবী করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ জাবেদ মিয়া জানান, হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের সাথে নিহত মামুনের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। এরা একসাথে এলাকায় অসামাজিক কাছে লিপ্ত ছিল বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। তাই তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণকালে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যাকান্ডের জট পুরোপুরি খুলবে।
এদিকে হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের মা শানু আক্তার অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রতিবেদককে জানান, আমার ছেলে মামুনের হত্যাকারীদের চেহেরা একটু দেখতে চাই। আমার নিরহ ছেলে, আমার বুকটা কেন শূন্য করেছে। কেন আমার চোখে অজস্র ঝড় বয়ে দিছে। আমি থানা পুলিশসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, যাচাই-বাছাই করে আমার ছেলে হত্যাকারীদের বের করেন।
Leave a Reply