শিশুদের হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব হরহামেশাই দেখা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারেও পটু হয়ে উঠেছে প্রযুক্তির যুগের শিশুরা।
আপনি হয়তো জানেন যে এখন অনেক শিশুই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু তাদের এই সংখ্যা কতটা বেশি সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই আপনার। বিশ্বের প্রতি তিনজন ইন্টারনেটব্যবহারকারীর একজন শিশু! আর এই পরিসংখ্যার খোদ ইউনিসেফ তাদের ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন রিপোর্টে তুলে ধরেছে। অথচ তাদের ইন্টারনেট নিরাপদ করতে খুবই নজরদারিই করা হচ্ছে।
ওই রিপোর্টে ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বলেন, ভালো হোক বা খারাপ, প্রযুক্তি এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটা ডিজিটার দুনিয়া। প্রত্যেক শিশুর জন্যে আমাদের দুটো চ্যালেঞ্জ- ক্ষতিকর অংশগুলো কীভাবে কমিয়ে আনা যায় আর সর্বাধিক উপকারিতা লাখ করা যায়।
দারিদ্রতার মাঝে বেড়ে ওঠা এবং অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রযুক্তির উপকারিতার কথাও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ কিন্তু অনলাইনে যেতে পারছে না।
তাদের সংখ্যা ২৪৬ মিলিয়ন। আসলে এই চিত্র স্পষ্ট করছে যে, আরো অনেক শিশুর ইন্টারনেটের অধিকার দেওয়া যাচ্ছে না। তারা সবাই ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
কিন্তু শিশুদের ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে হবে। ইন্টারনেটের অনেক বিষয়, ছবি ইত্যাদি শিশুদের উপযুক্ত নয়। কিন্তু সে বিষয়ে কতটা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়? রিপোর্টে বলা হয়, মোবাইল যন্ত্রের মাধ্যমে মূলত শিশুরা খুব সহজেই ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে। আর ঠিক এই জায়গাতে খুব কম নজর দেওয়া হয়। কাজেই বিষয়টা খুবই ভয়ংকর। বিশেষ করে ‘ডার্ক ওয়েব’ এবং ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মতো বিষয় পরিস্থিতি আরো ভয়ান করে তুলেছে। এখানে অসাবধানতাবশত শিশুরা নিগ্রহের শিকারও হচ্ছে। ঘটছে নানা ভয়ংকর অপরাধ।
শিশুদের যৌন নিপীড়নের প্রতি ১০টি ঘটনার ৯টি ঘটনাই ৫টি দেশে হোস্ট করা ঞয়। এগুলো হলো- কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়ান ফেডারেশন এবং আমেরিকা।
কেবলমাত্র সরকার এবং বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থা শিশুদের ইন্টারনেটব্যবস্থাকে বেশ নিরাপদ করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার। প্রতিটা পরিবারের অভিভাবকরা তাদের শিশুদের প্রযুক্তিযন্ত্রের দিকে নজর দেবেন। তাই বলে এটা বন্ধ করা যাবে না। তাদের প্রযুক্তিবান্ধব বানাতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তার সঙ্গে।
Leave a Reply